১২ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শুক্রবার তার নির্বাচনী এলাকায় এক স্কুলের উদ্বোধন করতে গিয়ে এই ঘোষণা দেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “১২ই সেপ্টেম্বর থেকেই সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। এবং এ সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।”
কোভিড সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সাথে গত রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পরই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের নিশিত করেন।
তিনি বলছেন, সম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এ কারনে কমিটি ওই বৈঠকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে মূলত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসাসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই খুলছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে এর পূর্বে অর্থ্যাৎ ১৫ই অক্টোবর খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন যে শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে, আবার কোভিড পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে নিজেরা নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে দেশের প্রতিটি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে বা সরাসরি ক্লাস নেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
কিন্তু এত দীর্ঘ সময় স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ক্রমাগতই জোরালো হচ্ছিল।
তবে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঘোষণা দিয়েছিলেন যে চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটগুলোতে আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকেই শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যম্যে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।