বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন হলেন ঊনবিংশ শতাব্দির একজন সাহিত্যিক এবং সমাজ-সংস্কারক। তাঁকে বাঙালী নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়।
আজ আমরা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবনী সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানবো।
নামকরণ:
বেগম রোকেয়ার প্রকৃত নাম রোকেয়া খাতুন।
তাঁর বৈবাহিক নাম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তাঁকে বেগম রোকেয়া নামে চিনেন।
পরিবারে তাঁর ডাকনাম ছিল রকু।
জন্ম:
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্মলাভ করেন। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশে তাঁর জন্ম।
পরিচিতি:
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের পিতার নাম জহীরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিত জমিদার।
এবং মাতার নাম রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরাণী।
পরিবার:
রোকেয়ারা মোট ৫ ভাই-বোন। যাদের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
২ বোনের নাম- করিমুন্নেসা এবং হোমায়রা।
আর ৩ ভাইয়ের মধ্যে একজন শৈশবেই মারা যান।
শিক্ষা:
তৎকালীন মুসলিম সমাজব্যবস্থা অনুসারে বেগম রোকেয়া এবং তাঁর বোনদের বাইরে পড়তে যেতে দেওয়া হয়নি।
ঘরে থেকেই তাঁরা আরবী এবং উর্দু শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তবে বেগম রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহিম আধুনিক মনস্কা ছিলেন। তিনি রোকেয়া এবং তাঁর বোন করিমুন্নেসাকে ঘরেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষা দেন।
বেগম রোকেয়ার জ্ঞান পিপাসা ছিল অসীম। গভীর রাত্রে সবাই যখন ঘুমিয়ে যেত তখন বালিকা রোকেয়া চুপি চুপি বিছানা ছেড়ে বড় ভাইয়ের কাছে মোমবাতির আলোর সহায্যে বাংলা এবং ইংরেজী পাঠ গ্রহণ করতেন।
এজন্য বেগম রোকেয়া এবং তাঁর ২ ভাই-বোনকে বহু লোকলজ্জা এবং বাধা-বিপর্যস্তের মুখে পড়তে হয়েছিলো। কিন্তু তারা পিছিয়ে পরেননি।
কতটা আগ্রহ এবং একাগ্রতা থাকলে একজন মানুষ শিক্ষা অর্জনের জন্য এরকম কঠোর সাধনা করতে পারে তা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সম্পর্কে জানলেই বোঝা যায়।
পদে পদে শত গঞ্জনা সহ্য করেও বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষার অগ্রগতি ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকে।
বিয়ের মাধ্যমেই তিনি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
সাধারণত বিয়ের পরপরই মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তৎকালীন সমাজে দাড়িয়েও বেগম রোকেয়ার সাথে ঘটে উল্টো ঘটনা। বেগম রোকেয়ার কাছে তাঁর বিয়ে হয়ে ওঠে আশীর্বাদসরূপ।
তাঁর স্বামী সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন মুক্তমনা। তিনি স্ত্রীকে লেখালেখির প্রতি প্রবল উৎসাহিত করতেন। এমনকি একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন।
স্বামীর অনুপ্রেরণায় বেগম রোকেয়া ইংরেজি শিক্ষা খুব ভালোভাবে লিখা এবং পড়া রপ্ত করেছিলেন। এমনকি স্বামীর সহযোগিতা পেয়ে বেগম রোকেয়া এতটাই উন্নতি করেছিলেন যে তিনি স্বামীর সরকারী কাজেও সাহায্য করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এই দম্পতি দুটি কণ্যাসন্তানের জনক-জননী। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে অকালেই তারা প্রাণ হারিয়ে তাঁদের নিঃসন্তান করে দেন।
নারী জাগরণের অগ্রদূত হয়ে ওঠার গল্প:
তৎকালীন মুসলিম সমাজে ভারতীয় উপমহাদেশের নারীদের ঘরের চার দেয়ালের মাঝেই বন্দী করে রাখা হতো। তাদের বাইরে যেতে দেওয়া হতো না।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ভারতীয় উপমহাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজকে সচেতন করার প্রয়াসে অসামান্য অবদান রাখেন। কারণ তাঁর ধারণা নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয় বরং সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ ও দশের কল্যাণে সমান তালে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
কিন্তু ১৯০৯ সালে বেগম রোকেয়ার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙ্গে না পরে এর ৫ মাস পর রোকেয়া ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ নামে ভাগলপুরে মেয়েদের জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
বেগম রোকেয়ার মৌলিকত্ব হচ্ছে তিনি শুধু মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য যুদ্ধই করে যান নি। তাদের লেখাপড়ার দ্বার উন্মোচনেও তাঁর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।
তবে ১৯১০ সালে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় স্কুলটি বন্ধ করে তিনি কলকাতা চলে যান।
সেখানে ১৯১১ সালের ১৫ই মার্চ তিনি একই নামে আরেকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রাথমিক অবস্থায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে ছাত্রী ছিল মাত্র ৮ জন। মাত্র ৪ বছরের মাঝেই সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ জনে।
এ পর্যন্ত পৌছতে তাঁকে সামলাতে হয়েছিল অনেক ঝড়-ঝাপটা। এই স্কুল গড়ে তোলা এবং একে রক্ষা করার ইতিহাস বড়ই করুণ।
পর্দা প্রথার প্রবল শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা, আত্মীয়-পরিজন-বন্ধুদের ষড়যন্ত্র, স্কুলের প্রবল আর্থিক দুরাবস্থা সামলাতে নিজের বই-পত্র;আসবাব বিক্রি করে সর্বোপরি সমাজের রক্তচক্ষু এবং কঠোর সামাজিক সমালোচনা-নিন্দার ঝড়কে উপেক্ষা করে মুসলিম মেয়ে তথা সমগ্র নারী জাতির জন্য এই অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করেছিলেন।
পরবির্তীতে ১৯৩০ সালের মাঝে তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি হাই স্কুলে পরিণত হয়।
স্কুল পরিচালনার পাশাপাশি নিজের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বেগম রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন।
১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালী নারীদের সংগঠন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করেন।
মেয়েদের মনকে জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে, মেয়েদের সমাজ-সময় সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন।
১৯২৬ সালে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলণে সভাপতিত্ব করেন।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কিছু সৃষ্টি:
বঙ্গের মহিলা কবিদের মধ্যে মিসেস আর.এস. হোসাইনের নাম স্মরণীয়।
বেগম রোকেয়া সহিত্যচর্চা শুরু করেন ১৯০২ সালে। ‘পিপাসা’ নামক একটি বাংলা গল্প লিখার মাধ্যমে তার বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখার সূচনা হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে কয়েকটি হলো-
সুলতানাস ড্রিম, প্রকাশিত: ১৯০৫ সালে এটি ইন্ডিয়ান ল্যাডিস ম্যাগাজিনে। যার অনুদিত রূপের নাম সুলতানার স্বপ্ন। এই রচনাটিকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যের একটি মাইলফলক হিসেবে ধরা হয়।
মতিচূর, প্রকাশিত: ১ম খন্ড- ১৯০৫ সাল, ২য় খণ্ড ১৯২১ সাল
এই প্রবন্ধগ্রন্থটির মাধ্যমে বেগম রোকেয়া নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানিয়েছেন। এবং শিক্ষার অভাবকে নারী পশ্চাৎপদতার কারণ হিসেবে দর্শিয়েছেন।
পদ্মরাগ, প্রকাশিত- ১৯২৪ উপন্যাসটিকে তিনি নিজ ভাই ইব্রাহিমকে উৎসর্গ করে লিখে ছিলেন-
“আমি আশৈশব তোমার স্নেহ সাগরে ডুবিয়া আছি। আমাকে তুমিই হাতে গড়িয়া তুলিয়াছো। আমি জানি না- পিতা, মাতা, গুরু, শিক্ষক কেমন হয়! আমি কেবল তোমাকেই জানি।”
বেগম রোকেয়ার রচিত রচনার একাংশ
অবরোধ বাসিনী, প্রকাশিত: ১৯২৮ সাল
এই গ্রন্থে তিনি নারীদের অবরোধ প্রথাকে বিদ্রুপ বাণে জর্জরিত করেছেন। এটি তাঁর সবচেয়ে বিতর্কিত উপন্যাস।
রচনাসমগ্র
শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ
দজ্জাল
রসনা পূজা
এই ৫টি বইয়ের বাইরেও বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লিখিত ছড়ানো-ছিটানো, বাংলা-ইংরেজি ভাষায় রচিত বহু গল্প, কবিতা, ছোট গল্প রয়েছে।
বেগম রোকেয়া শুধুমাত্র শিল্প বা শৌখিনতার জন্যই লিখেননি। তিনি তাঁর প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরেছেন।
হাস্যরস আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের সাহায্যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অসম অবস্থান ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর লিখা এতটাই তীক্ষ্ণ, এতটাই তীব্র ছিলো যে- তিনি যা বলতে এবং বোঝাতে চেয়েছিলেন তা সরাসরি তৎকালীন সমাজের প্রত্যেকের বুকে বিধে গিয়েছিল।
যার ফলসরূপ তাঁকে সমাজে প্রচুর নিন্দা-সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বিশেষত, গোঁড়া মুসলিমরা তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলো।
কিন্তু এসবে কোন তোয়াক্কা না করে বেগম রোকেয়া এগিয়ে গিয়েছেন সামনের দিকে। নিজের ইচ্ছাশক্তিকে শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন সমাজ পাল্টানোর অভিপ্রায়ে।
বেগম রোকেয়া ছিলেন ধর্মনিষ্ঠ কিন্তু, তিনি ধর্মান্ধ ছিলেন না। নিজ ধর্মের প্রতি তিনি যথেষ্ঠ অনুরাগী এবং শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
কিন্তু ধর্মের নামে তৎকালীন মুসলমান নারীদের পর্দার আড়ালে রেখে অশিক্ষত-অবঞ্চিত করে রাখায় তাঁর ঘোর আপত্তি ছিলো। শিক্ষার আলো দিয়ে তিনি সেই সমাজের অন্ধকার ঘোচাতে চেয়েছিল।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তাঁর রচনা দিয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করে গেছেন, ধর্মের নামে নারীর প্রতি অবিচার রোধ করতে চেয়েছেন।
শিক্ষা আর পছন্দানুযায়ী পেশা অর্জনের সুযোগ ছাড়া যে নারী মুক্তি আসবে না তা সকলকে বুঝিয়েছেন।
পুরষ্কার ও সম্মণনা:
২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা কর্তৃক অনুষ্ঠিত ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি কে?’ শীর্ষক একটি জরিপে শীর্ষ ২০ জনের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে আসন দখল করেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শকে সম্মান এবং তা উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর ‘রোকেয়া দিবস’ হিসেবে পালন করে। এই দিন দেশের অনন্য নারীদের মাঝে ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর কাছে বেগম রোকেয়ার নাম স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে রংপুরস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখেন ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কোন নারীর নামে নামাঙ্কিত এটিই প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৮০ সালে বেগম রোকেয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২টি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের মনে তাঁকে চিরজীবন স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রোকেয়া হল’ নামে একটি ছাত্রীনিবাস রয়েছে।
১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুগল তাদের নিজস্ব হোমপেজে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের গুগল ডুডল প্রদর্শন করে তাঁর জন্মদিন উদ্যাপন করে। গুগলের সেই ডুডলটিতে দেখা যায় সাদা পোশাকে চশমা পরা বেগম রোকেয়া বই হাতে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মরণে বাংলাদেশ সরকার একটি গণ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে পৈতৃক ভিটায় ৩.১৫ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র’।
যাতে অফিস ভবন, সর্বাধুনিক গেস্ট হাউজ, চার তলা ডর্মেটরি ভবন, গবেষণা কক্ষ, লাইব্রেরী ইত্যাদি রাখা হয়েছে।
১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন।
সেসময় তিনি ‘নারীর অধিকার’ নামের একটি প্রবন্ধ লিখছিলেন।
মহিয়সী এই নারীর কবর উত্তর কলকাতার সোধপুরে অবস্থিত। যা পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ক অধ্যাপক অমলেন্দু দে আবিষ্কার করেন।
সমাজকে বুঝাতে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা লিখেছেন। যেমন-
“মুনিদের বিধানে যে কথা শুনতে পান, তা কোন স্ত্রী-মুনির বিধানে হয়তো তার বিপরীত নিয়ম দেখিতে পাইতেন।”
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের অক্লান্ত পরিশ্রমেই আজ ভারতীয় উপামহাদেশের নারীরা শিক্ষার অধিকার পেয়েছে। বাংলাদেশের মুসলান নারী প্রগতির ইতিহাস লেখক এই নারীটির নাম কেউ কখনও ভুলতে পারবে না।