জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে টিকে থাকতে পৃথিবীতে কতভাবেই না মানুষ তার জীবিকা নির্বাহ করে। বেঁচে থাকার তাগিদে কিংবা শুধুমাত্র শখের বশেও মানুষ নানা রকম পেশা বেছে নেয়। আজ আমরা জানবো, এরকমই কিছু অদ্ভুতুড়ে পেশা সম্পর্কে, যেগুলো বহুকাল আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
সেসব পেশা গুলো এতটাই অদ্ভুতুরে যে বেশিরভাগের কথাই অনেকেরই এর আগে কখনও শোনা হয়নি।
আর এখন যখন জানতে পারবেন যে, পৃথিবীতে একসময় এমন অদ্ভুতুড়ে পেশাও ছিল, তখন বিস্মিত না হয়ে পারবেনই না!
বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন উদ্ভাবন করেন বৈদ্যুতিক বাতি। তবে তার এই উদ্ভাবনের আগ পর্যন্ত রাস্তার ল্যাম্প পোস্টগুলোয় ব্যবহার করা হতো তেলের বাতি। এসব বাতিগুলো ঠিক সময়ে জ্বালানো-নেভানো কিংবা সময়মতো তেল দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেওয়ার জন্য নিয়োজিত থাকতো বেশ কিছু কর্মী।
শত্রুসেনার বিমানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য এখন রাডারসহ আরো কতো নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়! কিন্তু একটা সময় যখন রাডার বলতে কিছুই ছিল না, অথচ যুদ্ধ ও বিমান দুটিই ছিল, তখন কী করা হতো? তখন সেনারা বিশেষ শব্দ নির্ভর এক যন্ত্র ও আয়না ব্যবহার করতো। যার মাধ্যমে দূর থেকে আসা শত্রুপক্ষের বিমানের ইঞ্জিনের আওয়াজ শুনে তারা সেটার অবস্থান নির্ণয় করতে পারতো!
ইউরোপে তখন ইঁদুরের উপদ্রব বেজায়। উপায়ন্তর না পেয়ে তখন rat-catcher বা ইঁদুর ধরার জন্য লোক নিয়োগ করা হয়। এ লোকদের কাজ ছিল ইঁদুর খুঁজে বের করে সেগুলোকে ধরে ফেলা। অদ্ভুতুড়ে পেশা হলেও এই পেশায় নিয়োজিত লোকগুলোর ইঁদুরের কামড় ও তা থেকে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল, তবুও তারা বেশ দক্ষতার সাথেই তাদের দায়িত্ব পালন করতো।
আগে যখন ফ্রিজ ছিল না তখন মানুষ খাবার সংরক্ষণ করতো কীভাবে? মানুষ কি বরফ ব্যবহর করতো না? করে থাকলে কীভাবে করতো?
উত্তর হচ্ছে সেসময় একদল লোক নিয়োজিত ছিলেন যারা বরফে জমে যাওয়া হ্রদ কেটে বরফ সংগ্রহ করতেন। এ পেশাটি ছিল খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু এই বরফই পরে মানুষের ঘরে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হতো!
আপনার কি প্রতিদিনই সকালে ঘুম ভাঙতে দেরি হয়? এমন কেউ যদি থাকতো যে জাগিয়ে দিবে তাহলে খুব ভালো হত? এমন অদ্ভুতুড়ে পেশা আবার হয় নাকি? হ্যা, এমনটি ছিলো অতীতে।