ভুলে যাওয়া রোগ সারাতে সাহায্য করবে যে খাবারগুলো

ভুলে যাওয়া রোগ সারাতে সাহায্য করবে যে খাবারগুলো
ভুলে যাওয়া রোগ সারাতে সাহায্য করবে যে খাবারগুলো

ভুলে তো সবাই-ই যায়৷ এটা মানুষের একটি সহযাত প্রবৃত্তি। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা সাধারণের চেয়ে একটু বেশি। ভুলে যাওয়া সহযাত প্রবৃত্তি হলেও বেশি মাত্রায় এই সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে একে ভুলে যাওয়া রোগ বলে ধরা হয়৷

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা প্রয়োজনীয় তথ্য মনে রাখতে পারেন না। প্রয়োজনের সময় নির্দিষ্ট তথ্যটি মনে করতে পারেন না।

এমনকি কেউ কিছু বলে দিলে কিংবা আনতে বললেও অনেক সময় তারা কিছুই মনে রাখতে পারছেন না।

মূলত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে ভুলে যাওয়া রোগ দেখা দিতে পারে।

আবার অনেকের ক্ষেত্রেই বয়সের আগেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে এটি জীবনযাপনের অনিয়মের কারণে হচ্ছে।

এই ভুলে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় অ্যালজাইমার্স, ডিমেনশিয়ার মতো অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে।

এই ভুলে যাওয়া রোগ সারাতে কিছু খাবার খুব ভালো কাজ করে।

চলুন জেনে নিই সে খাবারগুলো সম্পর্কে-

  • বাদাম

বাদাম কার না পছন্দ! অতি পরিচিত এবং অত্যন্ত সুস্বাদু এই ফল আমাদের স্মৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ১০/১২টি বাদাম খাওয়া উচিত।

প্রতিদিনের নাস্তায় বাদাম রাখা যেতে পারে। আবার বাদাম গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।

নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস আপনার স্মৃতিশক্তিকে অনেকটাই তীক্ষ্ণ করে তুলবে।

  • আখরোট

আখরোট খেতে খুবই সুস্বাদু। আবার বেশ উপকারীও এটি।

আখরোট আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী।

এটি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে।

আখরোট আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি করে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই, তামা ও ম্যাঙ্গানিজ।

যে পুষ্টি উপাদানগুলো ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমিয়ে আনে।

  • কুমড়ো বীজ

কুমড়ো বীজ ভীষণ উপকারী। তাই এগুলো ফেলে না দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

কুমড়োর বীজ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে কাজ করে।

এটি আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

এই বীজে থাকে দস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ভুলে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ করে। আর পাশাপাশি আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতাকেও উন্নত করে।

এজন্য শিশুদের রোজকার খাবারের তালিকায় কুমড়োর বীজ রাখবেন। এর ফলে ছোটবেলা থেকেই তাদের মনে রাখার ক্ষমতা তীক্ষ্ণ হবে।

  • ব্রোকলি

মস্তিষ্কের জন্য ব্রোকলি খুবই উপকারী একটি খাবার। ব্রোকলিতে রয়েছে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই, আয়রন, ফ্ল্যাভোনয়েডস জাতীয় পুষ্টি।

মস্তিষ্কের গতি বৃদ্ধি এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই খাবারটি।

ভুলে যাওয়া রোগ থেকে যদি মুক্ত থাকতে চান তবে নিয়মিত আহারে পাতে রাখুন ব্রোকলি। এবং শিশুকেও প্রতিদিন সবুজ রঙের এই উপকারী সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ডার্ক চকলেট

চকলেটপ্রেমীদের কাছে ভালোবাসার অন্য একটি নাম হলো ডার্ক চকলেট। চকলেটকে সুপারফুড বলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডার্ক চকলেট হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। তবে যদি এটা নিয়মিত খাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:
শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে অর্গানিক খাবার 
ব্রেনের জন্য ক্ষতিকর সাতটি বদঅভ্যাস 
সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিবিদদের মতে, ডার্ক চকলেটে অনেকগুলো দ্রবণীয় ফাইবার ও খনিজ রয়েছে। যেমন- ওলেইক অ্যাসিড, প্যালমেটিক অ্যাসিড, স্টেরিক অ্যাসিড।

ডার্ক চকলেটে অনেকগুলো জৈব যৌগ থাকে যেগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে।

তবে বেশি নয়, ৬৫ শতাংশ ডার্ক চকলেট খেলে খুব এটি সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কারণ এতে রয়েছে ফ্ল্যানল যা রক্তচাপ হ্রাস করে।

এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে যে ডার্ক চকলেট ক্যান্সারের ঝুঁকিও অনেকটা কমিয়ে আনে।

subscribe to our youtube channel 2

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন