৩০ মিনিটের মধ্যেই মেসির ৩০ নম্বর জার্সি বিক্রি শেষ

৩০ মিনিটের মধ্যেই মেসির ৩০ নম্বর জার্সি বিক্রি শেষ
৩০ মিনিটের মধ্যেই মেসির ৩০ নম্বর জার্সি বিক্রি শেষ

বার্সেলোনা ছাড়ার খবর নিশ্চিত হতে না হতেই রবরব সাজ আরম্ভ হয়ে যায় প্যারিসে। তখন থেকেই গোটা শহরে গুঞ্জন তাদের কাছে আসদে চলেছেন ফুটবলের মহা তারকা।

তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এবং ক্লাব চত্বরে জড়ো হয়েছিল হাজারো সমর্থকদের দল।

সেই প্রিয় খেলোয়াড়ের জার্সি বিক্রি নিয়ে হই-হুল্লোড় পড়বে- এটাই তো স্বাভাবিক। এবং হয়েছেও তাই।

অনলাইনে লিওনেল মেসির সকল জার্সি বিক্রি হয়ে গেছে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই।

আগের দিন সকলের সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্যারিসে পা রাখেন ফুটবল তারকা মেসি।

এক ‍বিন্দু ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও নিতান্তই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ভেঙে দেন তিনি। এরপর পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন তারকা।

এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পরই বিক্রির জন্য লিওনেল মেসির জার্সি তোলা হয় পিএসজির অনলাইনে।

প্রারম্ভ থেকেই এই তারকার জার্সি বিক্রির ধুম পড়ে যায়। যা শেষ হতে সময় লেগেছে মাত্র আধা ঘণ্টা।

তবে মেসির জার্সির জন্য যদিও একটু বেশিই মূল্য পরিশোধ করতে হয় ভক্তদের। কিন্তু তাও বাধা মানেনি তারা। এত উচু দর দিয়েও আটকে রাখা যায়নি ভক্তদের।

অন্যান্য খেলোয়াড়দের জার্সির মূল্যের তুলনায় দেড় গুণ বেশি দাম হওয়া সত্ত্বেও এ মেসির জার্সি কিনতে কৃপণতা করেননি তার ভক্তরা।

মেসির প্রতিটি জার্সি বিক্রয়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৭.৯৯ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রামানে যা ১৫ হাজার ৭২০ টাকা।

অথচ স্বাভাবিকভাবে পিএসজির যেকোন খেলোয়াড়ের জার্সির মূল্য ১০৭.৯৯ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রামানে ১০ হাজার ৭৪৫ টাকা।

নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে কিংবা এই অল্প কিছুদিন আগেই যোগ দেওয়া সের্জিও রামোস- এদের প্রত্যেকের জার্সি মূল্যও ছিল তাই।

কিন্তু এক্ষেত্রে আবার গোলরক্ষকদের জার্সি মূল্য ছিল কিছুটা বেশি। যে দাম ১১৭.৯৯ ইউরো, বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৭৪০ টাকা।

তবে পিএসজিতে লিওনেল মেসি কতো নম্বর জার্সি পরে খেলবেন এ বিষয়ে ছিল না কোন জল্পনা-কল্পনা।

তার ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় তিনি বার্সায় ১০ নম্বর পরে খেলেছেন।

কিন্তু পিএসজিতে এ ঘটনা আবার উল্টো। সেখানে ১০ নম্বর জার্সি পরেন নেইমার।

যদিও মেসিকে তার ১০ নম্বর জার্সি পরেই খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু মেসি বন্ধুর দেওয়া সে প্রস্তাব সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

বার্সায় ২০০৪/০৫ মৌসুমে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুটা মেসির ৩০ নম্বর জার্সি পরেই সূচনা হয়েছিল। এই জার্সি পরেই খেলেছিলেন মেসি।

২০০৬/০৭ মৌসুমে গিয়ে আবার ১৯ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন।

এরপরে ২০০৮/০৯ মৌসুমে রোনালদিনহো ক্লাব ছাড়ার সুবাদে ১০ নম্বর জার্সি হাতে পান মেসি।

ঠিক তখন থেকেই বার্সেলোনায় এ ১০ নম্বর জার্সি নিয়মিত হয়ে যায় তার জন্য।

এবার যেন এক লাফে আবার সেই ক্যারিয়ারের শুরুতে চলে গেলেন লিওনেল মেসি।

এখন তিনি পিএসজিতে খেলবেন ৩০ নম্বর জার্সি পরে।

তাছাড়া বিকল্প আরেকটি ছিল; ১৯ নম্বর জার্সি পরেও খেলা যেতো। কিন্তু সেক্ষেত্রেও কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুন:
২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছেন মেসি
৫০ শতাংশ বেতন কমিয়ে ৫ বছরের চুক্তিতে আবারো বার্সায় মেসি 
সর্বোকালের সেরা অ্যাথলেট লিওনেল আন্দ্রেস মেসি!

সমস্যাটা হচ্ছে পিএসজিতে ১৯ নম্বর জার্সি পরে খেলেন পাবলো সারাবিয়া।

তাই ৩০ নম্বর জার্সি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফুটবল তারকাকে।

অবশ্য লিওনেল মেসির ৩০ নম্বর জার্সি পরে খেলা নিয়েও সমস্যা ছিল লা পার্সিয়ানদের।

কারণ লিগ ওয়ানের নিয়ম অনুসারে ৩০ নম্বর জার্সিটা নির্ধারিত থাকে কেবলমাত্র গোলরক্ষকদের জন্য।

তাই মেসির ৩০ নম্বর জার্সির জন্য লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুমতি চেয়েছিল পিএসজি। যা থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়। এবং অবশেষে ৩০ নম্বর জার্সিই দেওয়া হয়েছে মেসিকে।

subscribe to our youtube channel 2

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন