অবশিষ্ট খাবার রাখার জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার উচিত নয়

অবশিষ্ট খাবার রাখার জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার উচিত নয়
অবশিষ্ট খাবার রাখার জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার উচিত নয়

খাবার সংরক্ষণের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। অনেকেই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করে থাকেন, যা সঠিক নয়।

সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে পারলে রেফ্রিজারেইটরেই ৪ দিন পর্যন্ত খাবার ভালো থাকে।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করা ঠিক নয়-

ওয়াশিংটন স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেল্থ’এর বরাত দিয়ে, রিডার’স ডাইজেস্টের এক প্রতিবেদনে লিখা হয়, “আমাদের মতো ব্যাক্টেরিয়াদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রেও বাতাসের প্রয়োজন। খাবারের মধ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে এরকম কিছু ব্যাক্টেরিয়া র‍য়েছে যা উচ্চ তাপেও বিনষ্ট হয়ে যায় না।”

“গরম খাবার যদি ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় ২ ঘণ্টার বেশি রাখা হয়, তবে তাতে দ্রুত ব্যাক্টেরিয়া জন্মে।”

এরকারনেই খাবারের বাড়তি অংশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এটা ব্যবহার করলে খাবার সম্পূর্ণভাবে বায়ুরোধী অবস্থায় থাকে না।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ, লিন্ডসে ম্যালন জানান, “এর ব্যবহারে বাতাস প্রবেশ করে তাই দ্রুত ব্যাক্টেরিয়ারও সংক্রমণ ঘটে।

একারণে কোন সংরক্ষক ব্যবহার করার পূর্বে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন। তা না হলে খাবারটি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”

খাবারের অবশিষ্টাংশ যেভাবে সংরক্ষণ করবেন-

  • খাবার সংরক্ষণ করতে হলে প্রথমেই তা দ্রুত ঠাণ্ডা করে অগভীর ও বায়ুরোধী পাত্রে রাখতে হবে।

  • খাবার রান্না শেষ হওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যেই রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এবং বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা কমে যাবে।

আরো পড়ুন: 
দীর্ঘদিন ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষিত যে খাবার গুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর 
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রান্নায় কোন ধরনের তেল ব্যবহার করা প্রয়োজন 
দুধ অথবা সবজি ওটস- সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কোনটি?
  • মাংস ও দুধের তৈরি খাবারে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ও বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়। তাই এই জাতীয় খাবারগুলোর বাড়তি অংশ বায়ুরোধী যেকোনো পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।

  • কোনো খাবার যদি ২ ঘণ্টার বেশি সময় বাইরে থাকে তবে তা না খাওয়াই ভালো।

ম্যালনের মতে, “কোনো খাবার যদি অতিরিক্ত হয়ে যায়, তা প্রথমে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিয়ে তারপর সঠিক সময়ে বায়ুরোধী পাত্রে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা উচিত। তারপরে যেকোনো সময়ে প্রয়োজন মতো বের করে খাওয়া যেতে পারে। এতে আর ব্যাকটেরিয়ার ভয় থাকে না”

কিউরিয়াস ইউটিউব চ্যানেল

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন