রাজনৈতিক সহিংসতায় অচল দক্ষিণ আফ্রিকা!

রাজনৈতিক সহিংসতায় অচল দক্ষিণ আফ্রিকা! 
রাজনৈতিক সহিংসতায় অচল দক্ষিণ আফ্রিকা! 

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমারকে দুর্নীতির দায়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে সংহিস আন্দোলনে একেবারে অচল গোটা দেশ।

প্রশাসনের কাঠোর অবস্থানের পরও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি পিটুরিয়ার নাদারবাস এবং এর আশেপাশের আরও বিভিন্ন অঞ্চল।

আন্দোলন ও সহিংসতার ছাপ গোটা দেশজুড়ে।

চলমান সহিংসতায় স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসীদের শপিংমল, স্থাপনা এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে নিমিষেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে প্রবাসীদের তিলে তিলে গড়ে তোলা অসংখ্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।

আর্থিক ক্ষতির মুখে অনেকেই বসেছেন পথে।

ভুক্তভোগী এক প্রবাসী বাংলাদেশী বলছেন, “আমাদের বাংলাদেশের প্রবাসী এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বড় বড় বিভিন্ন শপিং মলগুলোয় যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এর ফলে আমরা বাঙালীরা চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।”

আরেকজন জানিয়েছে, তার দোকানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন টাকার জিনিস ছিল। তার কিছু সরিয়ে নিতে পেরেছে, বাকি সব তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

টানা কয়েকদিনের হামলায় নিঃস্ব প্রবাসীরা আশ্রয় নিয়েছেন জোহানেসবার্গ, পিটুরিয়াসহ আশেপাশের শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে।

আরো পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় হামলা ও লুটপাটের শিকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা 
প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট ব্যবস্থা করছে সরকার,  সুবিধা পাবেন যেসব দেশের যাত্রীরা

বিপদগ্রস্থ প্রবাসীদের তাৎক্ষণিক সহযোগীতা প্রদানের চেষ্টা করছে ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকা, বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ প্রবাসী সংগঠনগুলো।

আন্দোলন বন্ধের কোন আভাস না পাওয়ায় প্রবল শঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার উন্নয়ন আর অগ্রগতির অন্যতম প্রধান অন্তরায় যেন ফোবিয়া এবং রাজনৈতিক সহিংসতা।

স্থানীয় দাবি আদায়ের আন্দোলনে ব্যাপকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ স্থানীয় এবং প্রবাসীদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে।

গত কয়েকদিন ধরে চলা এই রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অচল দক্ষিণ আফ্রিকা।এছাড়াও ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে দেশটির ভাবমূর্তি আর সামগ্রিক অর্থনীতি।

subscribe to our youtube channel 2

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন